জনদূর্ভোগে নেইকোনো জনপ্রতিনিধি’হাটখোলা রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদ!

নিজেস্ব প্রতিবেদক:-
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের হাটখোলা হইতে বিদ্যুৎ এর পাওয়ার ষ্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটি কুমুদিনী বাটার মাঠ সংলগ্ন সড়ক হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে রাস্তাটি ভেঙ্গে মরণ ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই জনদূর্ভোগে চরমে। দূড় থেকে মনে হয় রাস্তা নয় যেন কোন পুকুর। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং কাশিপুর ইউনিয়নের সংযোগ সরকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন ঢাকা হইতে মুন্সিগঞ্জ যাতায়াত কারী মাঝারী ও ছোট পরিবহন গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌছার একটি সহজ মাধ্যম ছিল এ রাস্তাটি দিয়ে।
ভুক্তভোগী এলাকা বাসী জানান, আমাদের জন প্রতিনিধিদের বিবেকবোধ হ্রাস পেয়েছে। তাদের একমাত্র দেখা মেলে নির্বাচন আসলে। নির্বাচন চলে গেলে তারা জনপ্রতিনিধি নয় অতিথি পাখিতে পরিণত হয়ে যায়।
এই সড়কটি সুধু কাশিপুর ইউনিয়ন বাসী যাতায়াত এ ব্যবহার করে থাকেনা, গোগনগর, আলীরটেক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন সহ নিম্নাঞ্চলের বাসীর স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছার রাস্তা। তাই এ সড়কটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বলে থাকা হয়।
দায়িত্বে থাকা কতৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে বর্তমানে একেবারেই চলা-চলের অযোগ্য এই রাস্তাটি। সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিয়ন’র সংযোগ সড়কটি বন্ধ হওয়ার কারনে কাশিপুর ইউনিয়ন বাসীর জনদূর্ভোগ চরমে । বর্তমানে বর্ষার মাস যেহেতু তাই অতি বৃষ্টির কারনে এখন এটা বুঝার কোনো উপায় নাই যে এটা রাস্তা না পুকুর। দীর্ঘ দিনের এই দূর্ভোগের কারন জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্রমশ বাড়ছে এলাকাবাসীর তীব্র ক্ষোভ।
এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল কে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে খুব দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
অপরদিকে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.কবির হোসাইন মুঠো ফোনে বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। আমাদের সীমানা পাওয়ার হাউজের শেষ দেওয়াল পর্যন্ত। পাওয়ার হাউজের আংশিক কিছু অংশ কাজেরবাকি আছে। তার পরেও আমরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত দ্রুত রাস্তাটি কাজ করে দেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশন চিন্তা ভাবনা করছে।