বন্দর ফরাজীকান্দা এলাকাবাসী মাদক সম্রাট সাগরের মাদক ব্যাবসায় অতিষ্ঠ

নিজেস্ব প্রতিবেদক:-
বন্দরে ফরাজীকান্দা এলাকার লাহড় বাড়ীর আবুল হোসেনের ছেলে মাদক সম্রাট সাগর নিজেই বলে বেড়ায় থানার বিভিন্ন দারোগাদের সাথে তার হট সর্ম্পক এমন কথাও বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রকাশ্য বলে বেড়াচ্ছেন। সাগর মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বিভিন্ন মহলে। চলেন সন্ত্রাসী স্টাইলে। নারীঘটিত ব্যাপারেও তিনি সেরা ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। নারী কেলেঙ্কারীর কারণেই তাকে দেখতে পারে না জানিয়েছেন তার নিকটতম এক আত্মীয়।
সাগর এলাকার মাদক সম্রাট হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। সম্প্রতি মাদক বিরোধী অভিযানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখের আড়ালে ছিলেন কিছুদিন। আবারো প্রকাশ্যে এসেছেন কয়েকদিন ধরে। নিজেই একজন মাদক ডিলার ও সেবনকারী আর এই জন্যই অনেক সাধারন মানুষ তার ভয়ে কথাও বলতে পারেন না।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এর মধ্যে ১ ডজন মামলার আসামী সাগরের নেতৃত্বে মাদক কেনাবেচা, সেবন আর রমরমা জুয়ার আসর। প্রতারণার বাণিজ্য ফেঁদে বসা অপরাধ অপকর্মের নিরাপদ আখড়া বানিয়েছেন। সেখান থেকেই সমগ্র এলাকায় ইয়াবার পাইকারী সরবরাহ যায়, নিয়মিত চলে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। অবাধে অপরাধ করে বেড়ালেও তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করার সাহস কারো নেই।
বন্দর থানা পুলিশ সম্প্রতি ফরাজীকান্দা এলাকা থেকে মাদক সম্রাট সাগরের সহযোগী জামানকে ইয়াবাসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঐদিন তাকে ছেড়ে দেয়া নিয়ে দর কষাকষি হয়। বারংবার পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেন মাদক সম্রাট সাগর এ ব্যাপারে থানায় যোগাযোগ করা হলেও কোনো তথ্য দেননি পুলিশ।
তবে অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ খবর হচ্ছে, ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে জামানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সাগরের ডানহাত খ্যাত জামান ভাইয়ের মাদক বিক্রি ও মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। চলাফেরা ঠিক সাগরের মতই। নিয়ন্ত্রণ করেন বড় ভাই মাদক সম্রাটের মাদক ব্যবসার
ফরাজীকান্দা জুড়েই মাদকের হাট! কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে মাদকের পাইকারী চালান নিয়ে বেচাকেনা করছে চলছে সিসি ক্যামেরা ও এলার্ম বসিয়েই চলছে মাদক কেনাবেচা ।
বন্দরের ফরাজীকান্দা লাহড়বাড়ী ঘেঁষেই সাগরের মাদক স্পট। বারবার গ্রেফতার করেও থামানো যাচ্ছে না তার মাদক বাজারটি। সেখানে রাত দিন চলছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল আর গাঁজা বেচাকেনা। মাদক আখড়া গড়ে তোলার মূল হোতা সাগরের বিরুদ্ধে এক ডজনের ও বেশি মামলা রুজু আছে। তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করে জেলেও পাঠানো হয়েছে। তার সহযোগী সহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া আছে। পুলিশি অভিযানও চালানো হয়েছে অনেকবার। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
তবে গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে অন্য কথা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ পেশার একটি সিন্ডিকেট এ মাদক বাজারটি পরিচালনা করছে। তাই এটি বন্ধ হচ্ছে না। অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ফরাজীকান্দা এলাকা। এখানে অহরহ ঘটছে অপরাধমূলক কর্মকান্ড। মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে, স্থানীয়দের অভিযোগ, মূলত মাদক ব্যবসাকে ঘিরেই অন্যসব অপরাধের বিস্তার ঘটছে এখানে। আর এ মাদক ব্যবসা চলছে সমঝোতার ভিত্তিতে। পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী অন্তত ২০ জন সরাসরি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে আছে। তারাই ম্যানেজ করছে থানা পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের। এদিকে দিন দিন নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ছে এলাকাবাসীর। মাদক ব্যাবসায়ী অনেকের নামে রয়েছে একাধিক মাদক ও ছিনতাই মামলা। গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে কয়েকজন ঘুরছে তারা। এদিকে মাদক ও জুয়ার স্পটগুলো থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে মোটা চাঁদা পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী, সংশ্লিষ্ট থানার কয়েকজন পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জোনের কয়েকজন কর্মকর্তা।
ফরাজীকান্দা এলাকায় তাদের সিন্ডিকেটে আছেন স্বামী পরিত্যাক্ত আলালের স্ত্রী বিউটি তাদের বসত ঘরেও মাদকের স্পট রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
ফরাজীকান্দা এলাকাবাসী তাদের রমরমা মাদক ব্যাবসায় প্রায় অতিষ্ঠ। তারা দ্রুত পুলিশ সুপার এসপি হারুনুর রশিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।