শিক্ষকরা কোচিং বানিজ্যের নামে টাকা কামানোর ধান্দায় থাকেন: ডিসি

আজকের বাংলাদেশ রিপোর্ট:
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষকরা কোচিং বানিজ্যের নামে টাকা কামানোর ধান্দায় থাকেন; ক্লাসে পড়ান কম। কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে আমি শিক্ষা অফিসারকে বলেছিলাম। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কোচিং বানিজ্য হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তাকে আমি নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি তা কাজে লাগাননি।’
সোমবার (৩০সেপ্টম্বর) দুপুরে শহরের চাষাড়ার বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জেলা পর্যায় শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক এক শিশু সংলাপ আলোচনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তার নিজ কর্মরত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবে না। সেই সাথে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কোন শিক্ষক কোচিং করাতে পারবে না। শিক্ষকরা যদি সচেতন হন তাহলে তার বাচ্চারা সচেতন হবে। বাংলাদেশে একটা সময় শিক্ষকরা ছিলেন সবচেয়ে ভালো। কিন্তু এখন আর তা নেই। বর্তমানে শিক্ষকরা হলেন সবচেয়ে খারাপ মানুষ। যদিও তাদের বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বলে থাকি পৃথিবীতে সবচেয়ে কম লেখা পড়া জানা লোক হলাম আমি। তা কি করে সম্ভব আমি জীবনে প্রশ্ন করেছি জানার আগ্রহ ছিলো। আমাদের জানার আগ্রহ থাকতে হবে। অন্যের আলোচনার শ্রোতা হতে হবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি ও প্রেস কøাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিস আসরাফ, সমাজ সেবক উপ পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার, সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার আফরোজা বানু, জেলা শিক্ষা অফিস সহ পরিদর্শক মো হাসিবুল হাসান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোনওয়ারা সুরুজ জেলা লাইব্রেরিয়ান আকতারুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।