এক শান্ততেই অশান্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল

নিজেস্ব প্রতিবেদক:-
নারায়ণগঞ্জ জেলার অধীনস্থ ০৫ (পাচটি) টি থানা কমিটি একটি জায়গায় আটকে যাচ্ছে বারবার যা হচ্ছে জেলা ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট মশিউর রহমান রনি একান্ত ভাবেই চায় সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের দায়িত্বে যেন মশিউর রহমান শান্ত কাধে আসে কিন্তু সেখানে পুরোপুরি নারাজ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব। যখনই থানা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে আলোচনায় বসা হয় সব থানার কমিটি নিয়ে সমাধানে আসতে পারলেও সোনারগাঁ থানা কমিটি নিয়ে আটকে যাচ্ছে থানা কমিটির প্রক্রিয়া।
সোনারগাঁ থানা যেহেতু জেলা ছাত্রদল খাইরুল ইসলাম সজীব নিজের থানা ও তার পিতার সংসদীয় অঞ্চল সে হিসেবে সে চায় ওই থানায় দায়িত্ব যেন তার নিজস্ব এবং যোগ্য লোকের হাতে দেওয়া হয়।
কিন্তু জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে কেবল অপারেটর ডিশ ও ইন্টার্নেট ব্যবসায়ী মশিউর রহমান শান্ত কে সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে পেতে মরিয়া।
সোনারগাঁও থানার ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় শান্ত এক রহস্যময় চরিত্রের অধিকারী। সারা বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে যখন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ডিস ব্যবসা ইন্টারনেট ব্যবসা হয়ে থাকে সেখানে মশিউর রহমান শান্ত এরকম কঠিন অবস্থাতেও বীর দর্পনে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর আংশিক তথা ০২ দুই জেলার তার ব্যবসা বিস্তৃত করছেন। কোথা থেকে পায় এই জাদুময়ী ক্ষমতা। অনেকের ধারণা যুবলীগ নেতা লিটন খানের বোন বিয়ে করে সেই গোপনীয় শক্তির মালিক।
তার আরো জানান রাজনৈতিক গায়েবী মামালায় যখন একটা ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীয়ও দিশেহারা তখন প্রায় মামলা শূন্য এই নেতা যে কিনা এক আধারে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,থানা ও জেলার সভাপতি প্রার্থী!!!
নির্বাচনের আগে যখন প্রতিদিন প্রতি থানায় অসংখ্য গ্রেফতার চলতো সেখানে সে একবারের জন্য গ্রেফতার না হলেও তার বাড়িতে প্রতিদিন ডিবির তল্লাশির নামে অনলাইন বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত থাকতো তার কিছু চাটুকার কর্মীরা। এই মিথ্যা প্রচারণা এখন ও স্থানীয় নেতা কর্মীদের মাঝে হাসির পাত্র হয়েই আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক থানা ছাত্রদল নেতা বলেন কেবল অপারেটর হিসেবে শান্তের মাসিক আয় অনেক আর যার বৃহৎ অংশ যায় জেলা ছাত্রদলের প্রেসিডেন্টের কাছে যা কৃতজ্ঞতা স্বীকার হিসেবে জেলা প্রেসিডেন্টের কাছে শান্তর বিকল্প শান্তই!!!
অন্যদিকে এই শান্তকে থানার আহবায়ক করতে যেয়ে এক আধুনিক থেউরি আবিস্কার করেছেন মশিউর রহমান রনি। সে থিউরি হচ্ছে জেলার নেতারি থানার আহবায়ক হবে তাতে করে শান্তকে তার আহবায়ক করা সহজ হয়। আর এনিয়েই ফুসে উঠেছে থানার তৃনমূলের নেতারা তাদের কথা হচ্ছে জেলার নেতারা কোন ভাবেই থানায় দায়িত্ব নিয়ে আসততে পারবে না। কারন দীর্ঘদিন কমিটি না দেওয়ার কারনে থানার মধ্যেই একাধিক নেতা পাইপ লাইনে আছে। আর এ নিয়েই অশান্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল।
একই থানার অন্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলে শান্ত রাজপথে কাজ করেছে এ নিয়ে আমার ভিন্নমত নেই তবে ছাত্রদলের দায়িত্ব নিতে হলে পেশাগত দিক অবশ্যই বিবেচনা করা দরকার।
থানা ছাত্রদলের আরেক নেতা বলেন, সোনারগাঁও থানার দায়িত্ব কোন ডিস ব্যবসায়ী বা যুবলীগ নেতার বোন জামাইয়ের হাতে দেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে মশিউর রহমান শান্ত সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, আমি একজন জিয়ার সৈনিক। আমি জাতীয়তাবাদের জিয়ার রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, আমার সর্ম্পকে যে অভিযোগ গুলো সম্পর্ন মিথ্যা ভিওিহীন বানোয়াট, এ ধরনের কোনো বিষয়ের সাথে আমার সংশ্লিষটতা নেই।