ঘুষ-দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে: সিপিবি

আজকের বাংলাদেশ রিপোর্ট:
‘জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী থেকে কমিশন দাবি করেছে। তারা কমিশনকে তাদের ন্যায্য হিসেবে মনে করে। এ থেকেই বোঝা যায় ঘুষ-দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রক গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতার বয়ান থেকে দেখা যাচ্ছে ঘুষের বিনিময়ে কাজ দেয়া হত এবং এই ঘুষের ভাগীদার আমলা-ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা সবাই।’
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, জেলা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, বিমল কান্তি দাস, দুলাল সাহা, আব্দুল হাই শরীফ, শাহানারা বেগম, ইকবাল হোসেন, এম.এ. শাহীন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় অবৈধ ক্যাসিনো বানিজ্য পরিচালিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে দেসবাসী ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ক্যাসিনো বানিজ্য প্রত্যক্ষ করছে। পুলিশের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে যুবলীগের নেতারা ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোকে ক্যাসিনো বানিয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় অবাধে মদ, জুয়া, দেহ ব্যবসা চলছে ক্লাবগুলোতে। এগুলোর অবৈধ আয় থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছে নিয়ন্ত্রকরা। ভাগ পাচ্ছে গডফাদার, দলীয় নেতা এবং প্রশাসনের কোন কোন কর্তাব্যক্তিরা। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ক্যাসিনো বানিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টদের বাসা-অফিসে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করছে।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘গত ১১ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগ টানা ক্ষমতায় রয়েছে এবং তাদের ছত্রছায়ায় এই মাফিয়াতন্ত্র গড়ে উঠছে। সম্প্রতিকালে সরকারের ক্যাসিনোবিরোধী এই অভিযানকে জনগন আইওয়াশ মনে করছে। অতীতের সরকারগুলোও এই ধরনের আইওয়াশ করত। নেতৃবৃন্দ বলেন এই দুষ্টচক্র গুঁড়িয়ে দিতে সরকার সক্ষম হবে না। প্রয়োজন হবে গন আন্দোলনের। সিপিবি দেশবাসীকে সেই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’