নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

আজকের বাংলাদেশ ডেস্ক:-
করোনা ‘হটস্পট’ খ্যাত নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সিটি কপোরেশনের অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অটোরিকশা চালকরা।
বুধবার ৬ মে সকালে নবীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড (কামাল উদ্দিনের মোড়) থেকে বন্দর বাজার অটোস্ট্যান্ড পর্যন্ত গাড়ি বন্ধ করে ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শতাধিক অটোরিকশা চালক শ্রমিকরা। এবং কষ্টের টাকা আমরা কাউকে দেবো না বলে স্লোগানে দিতে থাকে।
অটোরিকশা চালক শ্রমিকরা বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে আমরা পেটের দায়ে গাড়ি বের করছি। যদি গাড়ি না চালাই তাহলে পরিবার না খেয়ে মরবে। আমাদের অটোরিশকার মালিকরা গাড়ি জমা নেয় না। শুধু গ্যারেজ ভাড়া দিতে বলছে অথচ আমাদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতিটিপে ১০ টাকা করে আদায় করছে। আমরা প্রতিদিন কয় টাকা ইনকাম করি, তাদের টিপ প্রতি ১০ টাকা দিতে হয়। এভাবে প্রতিদিন ১৫০/২০০ টাকা করে অতিরিক্ত দিলে আমরা চলবো কেমনে।
অটোরিকশা চালক শ্রমিকরা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরেশন কর্তৃক ইজারাদার রানা সে আমাদের বলছে যদি গাড়ি চালাতে হয় তাহলে প্রতিটিপ প্রতি ১০ টাকা করে দিতে হবে নয়তো গাড়ি চালাতে দিবে না। প্রয়োজনে অন্য রোডের গাড়ি নবীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড (কামাল উদ্দিনের মোড়) থেকে বন্দর বাজার অটোস্ট্যান্ড পর্যন্ত চালাবে।
এদিকে, বন্দর কদমরসূল অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল তালুকদার জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন হওয়ার পর থেকেই ২২ ও ২৪নং ওয়ার্ডে ডাক আনা হলেও ২৩ নং ওয়ার্ডে রানার নেতৃত্বে কিছু লোক সিল-স্বাক্ষর ছাড়া রশিদ দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের থেকে চাঁদা আদায় করছে তারা। এমনকি করোনা ভাইরাইসের জন্য ২২ নং ওয়ার্ডে চাঁদা আদায় বন্ধ রাখলেও তারা অতিমাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে যতবার গাড়ি নবীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড (কামাল উদ্দিনের মোড়) যাবে ততবার তাদের চাঁদা দিতে হয়। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে কেউ এখনও পর্যন্ত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আমরা ব্যাবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, আমি এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে এখনই বলে দিচ্ছি ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য।