নিহত শাকিলের স্মরনে দেওভোগে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল

আজকের বাংলাদেশ রিপোর্ট:
ফতুল্লা দেওভোগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া শাকিলের স্মরণে দেওভোগ এলাকাবাসীর উদ্যোগে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে দেওভোগ মাদ্রাসা বাজারে এ শোক সভার অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধা মোহর আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আদর্শ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেনর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন, কাশিপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফি উদ্দিন খোকন সরকার, কাশিপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার দুলাল হোসেন, শাকিলের বন্ধু সজিবসহ এলাকাবাসী।
মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন বলেন, ‘আমরা সবাই বলি মাদক প্রতিরোধ করুন। এটা মুখে বললে হবে না, প্রতিরোধ নিজের এলাকা থেকে, নিজের থেকে করতে হবে। কাউকে মারতে দেখলে আমরা পালিয়ে যাই, এটা বন্ধ করতে হবে। বাজার কমিটি, পঞ্চায়ত, মসজিদ কমিটি ধান্দা করার জন্য না। আপনার নিজেরে কাজ করুন। না হলে নতুন করে কমিটি গঠন করুন।’
তিরি আরো বলেন, ‘এই এলাকায় প্রতিরাতে ৭০-৮০ মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে। এরা কারা, সংঙ্ঘবদ্ধভাবে তাদের আটক করুন, প্রশ্ন করুন। এলাকার স্বার্থে কোনো দল বা পদবী লাগে না।’
কাশিপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফি উদ্দিন খোকন সরকার বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবতে পারেনি শাকিল এভাবে মারা যাবে। কিছু ভাড়াটিয়া, সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে আমরা সবাই জিম্মি হয়ে আছি। দোকানদার ভাইয়েরা একজনকে মারার সময় সাটার বন্ধ করে পালিয়ে যান। আপনারা পালাবেন না, পরিবর্তে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’
সাবেক মেম্বার দুলাল হোসেন বলেন, ‘কিছু সংখ্যক তরুণ সন্ত্রাসী আমাদের এলাকাকে জিম্মি করে রেখেছে। এরা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এরাই এলাকার মধ্যে যত সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এরা সারাক্ষণ মাদকে বিভোর থাকে। শাকিল বিনা অপরাধে, একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে হথ্যার শিকার হয়। সে শহীদের মৃত্যু মরেছে।’
তিনি আরে বলেন, ‘আমাদের এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে। প্রতিটি দোকানে দোকানে লাঠি সোটা রাখতে হবে যাতে সময় মত ওদের প্রতিরোধ করতে পারেন। ‘আমাদের ওসি, এসপি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের আটক করে মেরে থানায় দিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’ তারা এর বেশি আর কি বলবেন।’
দৈনিক ইয়াদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা মোরসাইকেলে এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের আটক করে পিটিয়ে থানায় দিন। জেনে রাখুন, চোর, সন্ত্রাসীরা সাবই দুর্বল। আপনাদের সামেন ওরা কখনো টিকতে পারবে না।’