সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুর- আহত-৩

আজকের বাংলাদেশ রির্পোট :-
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী রমজান মিয়া দিপুর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে মুইচ্চা মাসুদ ও আসাদ বাহিনী। ৫ই আগষ্ট সন্ধায় সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার ব্যবসায়ী রমজান মিয়া দিপু জানান, পূর্ব সত্রুতার জের ধরে গত ৫ ই আগষ্ট সন্ধায় কোনাবাড়ী এলাকার মৃত বিল্লাল মোক্তার মিয়ার ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মাসুদুজ্জামান ওরফে মুইচ্চা মাসুদ ও তার ভাই আসাদুজ্জামান আসাদ,আক্তারুজ্জামান, পনির হোসেন এবং পিয়ার রহমানের ছেলে সুমন,হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে এমদাদুল সহ অজ্ঞাত আরোও ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দিপু এন্ড ব্রাদার্স ট্রেনিং এন্ড টেষ্টিং সেন্টারে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার চাচা শামসুল ইসলামের ছেলে শহিদুল আমিন,রুহুল আমিন ও সাত্তার বাঁধা দিলে মুইচ্চা মাসুম চাপাতি দিয়ে শহিদুল আমিনের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে এসময় তাকে বাচাতে আরও দুই ভাই এগিয়ে গেলে আসাদুজ্জামান রামদা দিয়ে রুহুল আমিনের মাথায় কোপ দেয় এসময় তারা রুহুল আমিনের আরেক ভাই সাত্তারকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। কোন উপায় না পেয়ে প্রান বাচাঁতে ঘরের ভিতর দরজা বন্ধ করে বসে থাকি।এসময় তারা আমার অফিসের টেবিলের ক্যাশে থাকা নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা,দুটি স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব মোবাইল,একটি ল্যাপটপ সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায়।এসময় তারা আমার অফিসে থাকা একটি দুই টনের এসি,একটি ফ্রিজ,একটি হাউজি১৫০ সিসি মটর সাইকেল,একটি ৩২” ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশনসহ চেয়ার টেবিল,আলমারি সহ অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৩লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
পরবর্তীতে আমাদেরকে অবরুদ্ধ অবস্থায় স্থানীয় তালতলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।বর্তমানে আমার দুই চাচাতো ভাই শহিদুল আমিন ও রুহুল আমিন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এদিকে সন্ত্রাসী মুইচ্চা মাসুদ আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের আহত করে নিজেরাই আমাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় গিয়ে মিথ্যা মামলা করে আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে।বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা নিজ বাড়িতে থাকতে পারছি না।
গতকাল সরেজমিনে কোনাবাড়ী এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,মৃত বিল্লাল মোক্তারের ছেলে মাসুদুজ্জামান ওরফে মোছওয়ালা মাসুদ ও তার ভাই আসাদুজ্জামা, আক্তারুজ্জামান সহ তাদের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।তারা নিজেরা কোন কাজ করেনা,এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে জোর পূর্বক চাঁদা নিয়ে এবং একমাত্র পারিবারিক ব্যবসা মাদক ব্যবসা করে তারা সাদিপুর তথা জামপুর ও কাচঁপুর সহ সোনারগাঁয়ের পূর্বাঞ্চল জুড়ে মাদকের মহারাজ্য তৈরী করে তুলেছে।তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার উপরেই চড়াও হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে নারী নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে স্থানীয় একজন অসহায় নারীর।
মুইচ্চা মাসুমের সাথে স্থানীয় ছাড়াও তালতলা,বস্তল,কলতাপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীরা জড়িত রয়েছে।তাছাড়া তালতলা ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ অফিসারও মুইচ্চা মাসুদের মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কাজে সহায়তা দিচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এমতাবস্থায় একজন মুইচ্চা মাসুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জনাব হারুন অর রশীদ বিপিএম,পিপিএম বার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ও সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের সহযোগিতা কামনা করছেন এলাকাবাসী।